[go: up one dir, main page]

বিষয়বস্তুতে চলুন

বরফ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
পৃথিবীর শেষ বরফের দেশ, সেখানে বারোমাস বরফ, জমি যেন শাদা চাদরে ঢাকা আর সেখানে ছ’মাস রাত্রি ছ’মাস দিন; সেখানে পেঙ্গু পাখিরা বরফের বাসায় ডিম পাড়ে,...
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বরফ হলো জল বা পানির কঠিন রূপ। জল বা পানি ঠান্ডায় জমাট বাঁধালে বরফে পরিণত হয়। তাপমাত্রা এবং চাপের উপর নির্ভর করে বরফ কমপক্ষে আঠারোটি পর্যায় প্রদর্শন করে। মানুষ বহু শতাব্দী ধরে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বরফ ব্যবহার করে আসছে।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • চৈৎ-বৈশাখ মাসে রাস্তায় ফেরিওয়ালা হেঁকে যেত ‘বরীফ’। হাঁড়িতে বরফ দেওয়া নোনতা জলে ছোটো ছোটো টিনের চোঙে থাকত যাকে বলা হ’ত কুলফির বরফ, এখন যাকে বলে আইস কিংবা আইস্‌ক্রিম। রাস্তার দিকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেই ডাকে মন কিরকম করত তা মনই জানে।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ছেলেবেলা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ (১৪২৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৩
  • খুব উঁচুতে যে মেঘ থাকে, তাহাতে অনেক সময়ে জলকণাগুলি জমিয়া বরফের কণা হইয়া থাকে। এই মেঘ আবার নীচে গরম বাতাসের মধ্যে নামিলে সেই বরফ গলিয়া জলকণা হইয়া যায়। ঠাণ্ডা দেশে এই বরফকণাই তুষার বৃষ্টি হইয়া মাটিতে পড়ে।
    • সুকুমার রায়, মেঘবৃষ্টি, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২২৪
  • চকা আমনি বলে উঠল—“আমি জানি। নীল সমুদ্রের মাঝে পাহাড় আছে, টাপু আছে, তার পরে পৃথিবীর শেষ বরফের দেশ, সেখানে বারোমাস বরফ, জমি যেন শাদা চাদরে ঢাকা আর সেখানে ছ’মাস রাত্রি ছ’মাস দিন; সেখানে পেঙ্গু পাখিরা বরফের বাসায় ডিম পাড়ে, ধলা ভালুক আছে, ধলা শেয়াল সিন্ধুঘোটক আছে, সব সেখানে শাদা, কালো কিছু নেই, দিন রাত সমান আলো, ঘুটঘুটে আঁধার মোটেই নেই, আমি সেখানে পাঁচবার গেছি!”
    • অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, টুং-সোন্নাটা-ঘুম, বুড়ো আংলা- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৭
  • গ্রামের কয়েকটি লোক বরফ পরিষ্কার করছিল এবং অদূরে কতকগুলি লোক একটা উটের মাংস ভাগাভাগি করছিল। ওদের সংগে মোটর ড্রাইভার ইরানি ভাষায় কথা বলছিল। ড্রাইভার আমাকে বুঝিয়ে দিলে, যদিও এরা হিন্দু বলেই পরিচয় দেয় তবুও হিন্দুস্থানের হিন্দুদের সংগে এদের কিছুই মিল নেই।
    • রামনাথ বিশ্বাস, কাবুল হতে বিদায়, আফগানিস্থান ভ্রমণ - রামনাথ বিশ্বাস, তৃতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- অশোক পুস্তকালয়, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৩০
  • তখনো সূর্যোদয় হয়নি। ধীরে ধীরে সামনের বরফের পাহাড়ের পিছনে সূর্য উঠছেন। সাদা বরফের চূড়ো দেখাচ্ছে ঘন নীল, যেন নীলমণির পাহাড়। পাখিদের বৈতালিক গান চলেছে তখনো। শেষ নেই—এ-পাহাড়ে, ও-পাহাড়ে, কত পাহাড়ে। যেমন সূর্য উদয় হলেন বৈতালিক গান থেমে গেল।
    • অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জোড়াসাঁকোর ধারে, জোড়াসাঁকোর ধারে- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৪
  • দেশের লোক, যাঁহারা কখনও বরফ দেখেন নাই, আজ বরফ দেখিয়া সকলেই চমৎকৃত হইলেন। আগ্রহের সহিত সকলেই সুস্নিগ্ধ বরফ-জল পান করিলেন। বাড়ীতে দেখাইবার জন্য অনেকেই অল্প কাঁচা বরফ লইয়া গেলেন।
    • ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, কঙ্কাবতী, প্রথম ভাগ, পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ, ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ, প্রকাশক- সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা, প্রকাশসাল- ২০০১ খ্রিস্টাব্দ (১৪০৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৩০
  • শীতকালে মঙ্গলের দুই মেরুপ্রদেশে যে বরফ জমে, ঐ দাগটি তাহারি। তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, পৃথিবীর মেরুপ্রদেশ, শীতকালে যেমন বরফে ঢাকা পড়ে, মঙ্গলের মেরুপ্রদেশও ঠিক্ সেই রকমে বরফে আচ্ছন্ন হয়।
    • জগদানন্দ রায়, মঙ্গল, গ্রহ-নক্ষত্র- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- এলাহাবাদ (প্রয়াগরাজ), প্রকাশসাল- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩২২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১১৯
  • কাশ্মীর আজ আর জমাট-বাঁধা বরফ নয়:
    সূর্য-করোত্তাপে জাগা কঠোর গ্রীষ্মে
    হাজার হাজার চঞ্চল স্রোত।
    • সুকান্ত ভট্টাচার্য, কাশ্মীর, ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থ, সুকান্ত সমগ্র- সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫১
  • এ সে রকম অবশ্য নয়—এ শুধু বরফের একটা প্রকাণ্ড স্তূপ। দুই পাহাড়ের মাঝখানে, শীতের সময় যে বরফ পড়েছিল—তারি খানিকট মাটি চাপা পড়ে গরমি কালেও আর কি গলতে পায়নি। একটা পাশ শুধু গলে গিয়ে মস্ত একটা বাড়ীর মত দেখতে হয়েছে—সে দিকটা যেন তার খোলা দরজা। এক জায়গায় নীচের থেকে বরফ গলে সুন্দর বরফের সেতু হয়ে আছে!
    • স্বর্ণকুমারী দেবী, কাহাকে?, দ্বাদশ পরিচ্ছেদ, কাহাকে?-স্বর্ণকুমারী দেবী, প্রকাশসাল- ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩০৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭৬
  • পথে চলিতে চলিতে বরফের ভিতর ডুবিলেই সর্বনাশ! এক এক স্থান এমন ভয়ানক যে, মাথার উপরে পর্বত প্রমাণ বরফ আলগোছে ঝুলিতেছে, সামান্য একটু ছুতা পাইলেই ঘাড়ে পড়িয়া মুহুর্তের মধ্যে তিব্বত যাইবার আশা মিটাইয়া দিবে। একটু অসতর্ক হইয়া পথ চলা, এমনকি, একটি গান ধরা, এরূপ সামান্য কারণ হইতে এইরূপে বরফ চাপা পড়িয়া দলসুদ্ধ লোক মারা যাইবার কথা শুনা গিয়াছে।
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, তিব্বত, বিবিধ প্রবন্ধ, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৯২২
  • যখন বরফ পড়ে পথঘাট সব পিছল হয় তখন সেই পিছল পথের উপর দিয়ে গাছের গুড়িগুলোকে টেনে নিয়ে নদীর ধারে কিম্বা রেলের লাইনে নিয়ে হাজির করে। যে বৎসর খুব তাড়াতাড়ি শীত পড়ে যায় কিম্বা খুব অতিরিক্ত বরফ পড়ে সে বৎসর তাদের ভারি কষ্ট। একে শীতের কষ্ট, তার উপর আবার নরম বরফের মধ্যে দিয়ে কাঠ টানবার কষ্ট।
    • সুকুমার রায়, কাঠের কথা, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭৪
  • খাইতে খাইতে ষাঁড়েশ্বরের মনে উদয় হইল যে, তারীফ শেখ হয়তো মুরগীর সহিত বরফ মিশ্রিত করিয়াছে। তাই তিনি হাত তুলিয়া লইলেন, আর বলিলেন, —“আমার খাওয়া হইল না। বরফ-মিশ্রিত মুরগী খাইয়া শেষে কি জাতিটি হারাইব?” সকলে অনেক বুঝাইলেন যে, মুরগী বরফ দিয়া রান্না হয় নাই। তবে তিনি পুনরায় আহারে প্রবৃত্ত হইলেন।
    • ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, কঙ্কাবতী, প্রথম ভাগ, পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ, ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ, প্রকাশক- সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা, প্রকাশসাল- ২০০১ খ্রিস্টাব্দ (১৪০৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৩
  • তটিনী তট হইতে সলিলে ভাসমান বরফের উপরে লম্ফ প্রদান করিলেন, তাহাতে বরফ রাশী পদভরে জলমগ্ন না হইয়া ঘোরতর শব্দ করত পূর্ব্বমত ভাসমান রহিল। এইরূপ বারবার লস্ফ প্রদান করিয়া ভাসমান বরফের উপর দিয়া যত যাইতে লাগিলেন, ততই প্রাণপণে করুণাময় জগদীশ্বরকে ডাকিতেছিলেন, কিন্তু তাঁহার দয়ার লক্ষণ বিলক্ষণ প্রতীয়মান হইল। যে হেতুক ইলাইজা যে কয়েক খানি বরফের উপরে পদবিক্ষেপ করিয়াছিল, তাহার একখানিও জলসাৎ হয় নাই।
    • হ্যারিয়েট বিচার স্টো, ইলাইজার নদী পার হওন, টম্‌ খুড়ো - হ্যারিয়েট বিচার স্টো, অনুবাদক- তারিণীচরণ চক্রবর্তী, প্রকাশসাল- ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ (১২৭০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]