কাদা
অবয়ব
কাদা বা কর্দম হলো মাটি ও পলির একটি জলীয় আঠালো এবং অর্ধ তরল মিশ্রণ। পৃথিবীর অনেক স্থানেই ঘর বাড়ি নির্মাণে কাদামাটির ব্যবহার করা হয়। নদী বা পুকুরের তলদেশের কাদামাটি ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য উপকারী বলে অনেকে মনে করেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- কাল সন্ধ্যা হইতে টিপ্ টিপ্ করিয়া কেবলই বর্ষণ হইয়াছে; সে বৃষ্টিতে রাস্তার মাটিকে কাদা করিয়া তুলিয়াছে কিন্তু কাদাকে ধুইয়া ভাসাইয়া লইয়া যাইবার মত বল প্রকাশ করে নাই।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গোরা, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, গোরা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪
- বৃষ্টিতে ভিজিয়া ভিজিয়া উঠানটা কাদা ও পিছল হইয়া আছে। গৃহাঙ্গনের এই নােংরা পচা পাঁকের চেয়ে নদীতীরের কাদা অনেক ভালাে। সেই কাদায় হাঁটু পর্যন্ত ডুবিয়া গেলেও যেন এরকম অস্বস্তি বােধ হয় না।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, পদ্মানদীর মাঝি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্করণ- ৩৫, প্রকাশক- বেঙ্গল পাবলিশার্স , প্রকাশস্থান- কলকাতা, পৃষ্ঠা ১৯
- পথঘাটে তখনও কাদা, মাঠে মাঠে জল জমে আছে। বিকেলবেলা ফিঙে পাখী বসে আছে বাবলা গাছের ফুলে-ভর্তি ডালে।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ইছামতী, ইছামতী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩
- চিক্ চিক্ করে বালি,
কোথা নাই কাদা,
এক ধারে কাশ-বন
ফুলে ফুলে সাদা।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ছােটো নদী, চিত্রবিচিত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৯৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৭
- যদি একবার ঐ গর্তের তলাটা পরীক্ষা করিয়া দেখ, তবে দেখিবে যে তলায় অতি মিহি মোলায়েম কাদা জমিয়াছে। ঐ কাদা উঠান হইতে আসিয়াছে। উঠান হইতে ভারী জিনিস যাহা কিছু আসিয়াছিল, তাহা ঐ কাদায় ঢাকা পড়িয়াছে।
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, পুরাতন কথাঃ ২, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল-১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৯৫৫
- সন্ধ্যা বেলার খুশিটুকু
সকাল বেলার কাঁদা
রইল হােথায় নীরব হয়ে,
কাদায় হল কাদা।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পৌষ-মেলা, চিত্রবিচিত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৯৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৯
- কাদাই ইহাদের ঘরের একমাত্র মাল-মসলা। কাছাকাছি কোনো জায়গায় ইহারা মুখের লালা দিয়া কাদা তৈয়ারি করে। তার পরে তাহা সম্মুখের দুখানি পায়ে আট্কাইয়া বাসার জায়গায় বহিয়া আনে।
- জগদানন্দ রায়, কুমরে-পোকা, পোকা-মাকড়- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৯১
- সংকীর্ণ মেটো পথ···তারই মধ্য দিয়ে চ’লে তারা গিয়ে ঢুকে পড়ে সেই উঁচু পাথরের খাঁচাটার মধ্যে, যেটা তাদের গ্রাস করবার জন্য কাদা-ভরা পথের দিকে চেয়ে আছে শত শত হল্দে তৈলাক্ত চক্ষু বিস্তার ক'রে। পায়ের তলায় কাদা চট্ চট্ করতে থাকে···কাদাও যেন তাদের ভাগ্য নিয়ে বিদ্রুপ করছে;
- মাক্সিম গোর্কি, মা, মা - ম্যাক্সিম গোর্কি, অনুবাদক- বিমল সেন, প্রকাশক- বর্মণ পাবলিশিং হাউস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৯
- কাদা চওলার পথ,
বাদ্লা ভাঙ্গা রথ,
মোটা কাপড়ের বাসি,
নিদন্তের হাসি,
আমি বড়ই ভালবাসি!- যোগীন্দ্রনাথ সরকার, নিদন্তের হাসি, খুকুমণির ছড়া - যোগীন্দ্রনাথ সরকার, প্রকাশক- সিটি বুক সোসাইটি, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩০৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫০
- গাড়ীর চাকা হইতে কাদার ধারা উৎক্ষিপ্ত হইয়া প্রিয়নাথের যত্নরক্ষিত সামান্য পরিচ্ছদ সুবিচিত্র করিয়া দিল। সে বিরস বদনে আপন মনে কহিল, “কেন এই বিভেদ? কেন আমি রাস্তায় কুকুরের মত এই জল-কাদায় হাঁটিয়া চলিয়াছি, আর ঐবা কেন আরামে লোকের গায়ে কাদা ছিটাইয়া, সকলকে অবজ্ঞা করিয়া চলিয়াছে?
- হেমেন্দ্রকুমার রায়, কেরাণী, পসরা - হেমেন্দ্রকুমার রায়, প্রকাশক- বৈদ্যবাটী-যুবক-সমিতি, প্রকাশসাল- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩২২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় কাদা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে কাদা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিঅভিধানে কাদা শব্দটি খুঁজুন।