বোন্ডা
অন্যান্য নাম | আলু চপ/আলু বোন্ডা(উড়িষ্যা) |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | দক্ষিণ ভারত |
অঞ্চল বা রাজ্য | উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র |
প্রধান উপকরণ | ময়দা বা বেসন গোলা, আলু (অথবা অন্যান্য সব্জী) |
বোন্ডা বা বোন্দা হল একটি কড়া ভাজা দক্ষিণ ভারতীয় আলুর মুচমুচে জলখাবার ।[১] [২] ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে এই পদটি ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। অঞ্চলভেদে এই খাবারের স্বাদের তারতম্য দেখা যায়। বিভিন্ন প্রকারের বোন্ডার মধ্যে সবচেয়ে জন্নপ্রিয় হল আলু দিয়ে প্রস্তুত আলু বোন্ডা। কিছু অঞ্চলে এই পদ আলু ছাড়াও মিষ্টি আলু, ট্যাপিওকা, কোড়ানো আনারস, সবুজ মটর, পনির বা অন্যান্য উপাদান দিয়েও তৈরী করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বোন্দার একটি রন্ধন প্রনালী মানসোল্লাসাতে উল্লেখ করা হয়েছে। মানাসোল্লাসা হল ১২ শতকে সংস্কৃত ভাষায় রচিত এক বিশ্বকোষ। বলা হয় সোমেশ্বর তৃতীয় এই প্রাচীন গ্রন্থকে তাথ্যের ভাণ্ডার দিয়ে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তিনি প্রাচীনকালে কর্ণাটক -এর অঞ্চল শাসন করতেন। [৩]
প্রস্তুতি
[সম্পাদনা]একটি মশলাদার বোন্ডা তৈরির জন্য বেসনের গোলায় বিশেষভাবে প্রস্তুত আলু ডোবান হয়। বোন্ডার সাধারণত দুটি প্রকার বর্তমান। যার মধ্যে একটি মিষ্টি স্বাদের এবং একটি মসলাদার।
কেরালার কিছু আঞ্চলিক রন্ধনপ্রনালীতে বোন্ডা প্রস্তুত করতে আলুর বদলে ট্যাপিওকা (ট্যাপিওকা বোন্ডা ) বা মিষ্টি আলু অথবা সামান্য পেঁয়াজ, সিদ্ধ ডিম ( মুত্তা বোন্ডা ), মসলা, কিমা করা মাংস এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়।
তামিলনাড়ু রাজ্যে কালো ছোলা (উলুন্ডু) বাটা থেকে বোন্ডা তৈরি করা হয়।
অন্ধ্রপ্রদেশে বোন্ডা পুরনালু নামে পরিচিত।
নিরামিষ বোন্ডা হল উদুপি রন্ধনপ্রণালীর একটি খাবার, যেখানে তাজা সবুজ মটর এবং অন্যান্য সূক্ষ্মভাবে কাটা শাকসবজি যেমন ফ্রান্সের উতপাদিত শিম, গাজর এবং ধনে পাতা দিয়ে তৈরী পুর ব্যবহার করা হয়। [৪] গোলি বাজে বা ম্যাঙ্গালোর বন্ডা বা ম্যাঙ্গালোর বাজ্জি কর্ণাটকের আরেকটি জনপ্রিয় রান্না যা বোন্ডার এক বিকল্প রূপ।বোন্ডা -এর এই বিশেষ প্রকারটি ময়দার আটা (মিহি করা ময়দা) থেকে তৈরি করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Take pride in the bonda or pakora. It is our gift to the world"। Hindustan Times। ১৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Gupta, Chef Niru (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "10 Best Karnataka (Kannada) Recipes"। food.ndtv.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ K.T. Achaya (২০০৩)। The Story of Our Food। Universities Press। পৃষ্ঠা 85। আইএসবিএন 978-81-7371-293-7।
- ↑ "Vegetable Bonda ,Veg Bonda Recipe"। Udupi-Recipes। ২৪ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০।