[go: up one dir, main page]

বিষয়বস্তুতে চলুন

ডোভার প্রণালী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মানচিত্রে ডোভার প্রণালী
ফ্রান্সের তীর থেকে তোলা ডোভার প্রণালীর ছবিতে ইংল্যান্ডের উপকূল দেখা যাচ্ছে।
ডোভারের তীরে শ্ব্বেতবর্ণ পাহাড়ের ঢাল

ডোভার প্রণালী (ইংরেজি: Strait of Dover) গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে ফ্রান্স তথা ইউরোপীয় মহাদেশীয় ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্নকারী সমুদ্রপ্রণালী। এটি ইংলিশ চ্যানেল তথা আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে উত্তর সাগরের সংযোগসাধন করেছে। ফরাসিরা এটিকে কালে প্রণালী (ফরাসি: Pas-de-Calais; আ-ধ্ব-ব: [pɑdə kalɛ]) নামে ডাকে।

ইংল্যান্ডের উপকূলে প্রণালীটি ডাঞ্জনেস (Dungeness) এবং দক্ষিণ ফোরল্যান্ড নামের দুইটি অন্তরীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ধরা হয়। অন্যদিকে ফ্রান্সের উপকূলে এটিকে কালে (Calais) শহর থেকে কা গ্রি-নে (Cap Gris-Nez) পর্যন্ত বিস্তৃত বলে গণনা করা হয়।

সমুদ্রপ্রণালীটি ইংলিশ চ্যানেলের পূর্ব প্রান্তের সবচেয়ে সরু অংশটি গঠন করেছে। প্রণালীর সবচেয়ে সরু অংশটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ফোরল্যান্ড এবং ফ্রান্সের কা গ্রি-নে-র মধ্যে অবস্থিত এবং প্রায় ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেবার জন্য সাঁতারুরা এই সরুতম পথটিই ব্যবহার করে থাকেন।[]

প্রণালীর দুই পাশে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড উভয় দিকের তীরই শ্বেত চুনাপাথরে তৈরি খাড়া পাহাড় নিয়ে গঠিত। দুই তীরের চুনাপাথরের স্তরগুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে প্রাগৈতিহাসিক কালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে স্থলযোগাযোগের একটি পথ এখান দিয়ে চলে গিয়েছিল।

ডোভার বা কালে প্রণালীটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত সমুদ্রপ্রণালী। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাণিজ্যিক জাহাজ যাতায়াত করে।[] ১৯শ শতকের শুরুর দিকেই প্রণালীর নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে প্রণালীর তলদেশ দিয়ে একটি রেলসুড়ঙ্গের খননকার্য আরম্ভ হয় এবং ১৯৯৪ সালে এটি "চ্যানেল টানেল" বা "চানেল" নামে পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "English Channel". The Cambridge Paperback Encyclopedia, 1999.
  2. See The Channel Navigation Information Service (CNIS) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]