দিল্লি–মিরাট আঞ্চলিক দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা

দিল্লি–মিরাট নমো ভারত
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মালিকানায়	ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন
সেবা উপভোগকারী এলাকা	দিল্লি গাজিয়াবাদ মিরাট
অবস্থান	জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (ভারত)
পরিবহনের ধরন	আঞ্চলিক রেল
লাইনের (চক্রপথের) সংখ্যা	১
বিরতিস্থলের (স্টেশন) সংখ্যা	২২ (মোদীপুরম ও দুহাই ডিপো ব্যতীত)
ওয়েবসাইট	ncrtc.in
চলাচল
চালুর তারিখ	২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (আংশিক)
দুই রেলগাড়ীর মধ্যবর্তী সময়	৫-১০ মিনিট
কারিগরি তথ্য
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য	৮২ কিমি (৫১ মা)
রেলপথের গেজ	(১,৬৭৬ মিমি (৫ ফুট in ইঞ্চি) ব্রডগেজ)[১]
বিদ্যুতায়ন	২৫ কেভি, ৫০ হার্জ এসি ওভারহেড ক্যাটারারি
গড় গতিবেগ	১০০ কিমি/ঘ (৬২ মা/ঘ)
শীর্ষ গতিবেগ	১৬০ কিমি/ঘ (৯৯ মা/ঘ)
গণপরিবহন ব্যবস্থার মানচিত্র টেমপ্লেট:দিল্লি–মিরাট নমো ভারত

দিল্লি–মিরাট নমো ভারত বা দিল্লি–গাজিয়াবাদ–মিরাট নমো ভারত ৮২ কিলোমিটার (৫১ মা) দীর্ঘ,^[২][৩] উচ্চতর-গতির আঞ্চলিক রেল করিডোর, যা দিল্লি, গাজিয়াবাদ ও মিরাটকে সংযুক্ত করে। এটি ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (এনসিআরটিসি) নমো ভারত প্রকল্পের প্রথম ধাপের আওতায় পরিকল্পিত তিনটি আঞ্চলিক রেল করিডোরের একটি। ১৬০ কিমি/ঘ (৯৯.৪২ মা/ঘ) এর সর্বোচ্চ গতিসহ, দিল্লি এবং মিরাটের মধ্যবর্তী দূরত্বটি প্রায় ৬২ মিনিটের (১.০৩ ঘণ্টা) মধ্যে অতিক্রম করবে। ^[৪] প্রকল্পটির ব্যয় হবে ₹৩০,২৭৪ কোটি (ইউএস$ ৩.৭ বিলিয়ন) এবং ২০২২ সালের মধ্যে রেল ব্যবস্থাটির পরিচালনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

• মে ২০১৭: উত্তরপ্রদেশ সরকার দিল্লি-মিরাট নমো ভারত প্রকল্পের ডিপিআর অনুমোদিত করে। ^[৫][৬]
• ফেব্রুয়ারি ২০১৯: কেন্দ্রীয় সরকার ৮২.১৫ কিমি দীর্ঘ দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট নমো ভারত প্রকল্পের জন্য ৩০,২৭৪ কোটি টাকার অনুমোদন করেছে। ^[৭]
• মার্চ ২০১৯: প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ^[৮]
• জুন ২০১৯: স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ^[৯]

এই করিডোরটি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য উপকারী হবে এবং এই করিডোর বরাবর পরিকল্পনা করা বিপুল সংখ্যক জনপদ এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকেন্দ্রকে সংযুক্ত করতে সহায়তা করবে।

• দৈর্ঘ্য = ৮২ কিমি
• নমো ভারত স্টেশনগুলির সংখ্যা = ১৬
• মিরাট এমআরটিএসের জন্য অতিরিক্ত স্টেশনের সংখ্যা = ৬

পুরো দৈর্ঘ্যের মধ্যে ৬৮.০৩ কিমি (৪২.২৭ মা) উড়াল, ১৪.১২ কিমি (৮.৭৭ মা) ভূগর্ভস্থ ^[২] এবং ১.৪৫ কিমি (০.৯০ মা) ভূমি পৃষ্ঠে নির্মিত হচ্ছে গাজিয়াবাদের দুহাই এবং মিরাটের মোদীপুরমে যে দুটি ডিপো তৈরি করা হচ্ছে তার সঙ্গে সংযোগের জন্য। দিল্লি এবং মিরাটের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে, এই রুটটি যমুনা নদী সহ ভূগর্ভস্থ হবে। ^[৩] পুরো রুটটি সর্বোচ্চ ১৮০ কিমি/ঘ (১১১.৮৫ মা/ঘ) গতির জন্য নকশা করা হয়েছে এবং পরিচালনাগত গতি ১৬০ কিমি/ঘ (৯৯.৪২ মা/ঘ)। ^{[১০][১১]} গড় গতি (সমস্ত বিরতিস্থল সহ) প্রায় ১০০ কিমি/ঘ (৬২.১৪ মা/ঘ) হবে।

দিল্লি-মিরাট করিডোর শুরু হয় দিল্লির সরাই কালে খান স্টেশন থেকে। করিডোরটি দিল্লি, গাজিয়াবাদ ও মিরাট অঞ্চলগুলি পেরিয়ে মিরাটের মোদীপুরমে সমাপ্ত হবে। ^[২][৩]

হযরত নিজামুদ্দিন সরাই কালে খানও আশেপাশের হযরত নিজামুদ্দিন মেট্রো স্টেশন, সরাই কালে খান আইএসবিটি এবং হযরত নিজামুদ্দিন রেলস্টেশন উপস্থিত থাকার সাথে একটি গণপরিবহনের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ^[৩]

দুহাই ডিপো সহ ৩৮.০৫ কিমি (২৩.৬৪ মা) দীর্ঘ সাহিদাবাদ-মিরাট দক্ষিণ বিভাগটি ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে চালু করা হবে, ১৬.৬০ কিমি (১০.৩১ মা) হযরত নিজামুদ্দিন- সাহিদাবাদ ২০২৪ জানুয়ারিতে এবং বাকী ৩৭.৪০ কিমি (২৩.২৪ মা) মিরাট দক্ষিণ-মোদিপুরম অংশ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চালু করা হবে। ^[৩]

মোট ^[১২] ১৬ টি স্টেশন থাকবে ^[১২]

জাতীয় রাজধানী অঞ্চল পরিবহন কর্পোরেশন দিল্লি-মিরাট নমো ভারত রুটে সরাই কালে খান কেন্দ্রটিতে ইউরোপীয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (ইটিসিএস) দ্বারা সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ^[১৩]

১. জুন ২০১৯ - দুহাইয়ের নিকটে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল পরিবহন কর্পোরেশন পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে। ^[১৪]

• দিল্লি–আলোয়ার আঞ্চলিক দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
• দিল্লি–সোনিপথ–পানিপথ আঞ্চলিক দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা