জামিল উদ্দিন আহমেদ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম
জন্ম	১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ ফরিদপুর, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু	আগস্ট ১৫, ১৯৭৫(1975-08-15) (বয়স ৩৯) মিরপুর সড়ক, ধানমন্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ
সমাধি	বনানী সামরিক কবরস্থান
আনুগত্য	পাকিস্তান সেনাবাহিনী (১৯৬০-১৯৭১)  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (১৯৭১-১৯৭৫)
কার্যকাল	১৯৬০–১৯৭৫
পদমর্যাদা	ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
ইউনিট	কোর অফ সিগন্যালস
নেতৃত্বসমূহ	প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর প্রধান প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট
যুদ্ধ/সংগ্রাম	১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ বাংলাদেশে অভ্যুত্থান †
পুরস্কার	বীর উত্তম
দাম্পত্য সঙ্গী	আঞ্জুমান আরা জামিল
সন্তান	তাহমিনা এনায়েত, আফরোজা জামিল কঙ্কা, ফাহমিদা আহমেদ শ্বেতা, কারিশমা জামিল

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ যিনি কর্নেল জামিল নামেই বেশি পরিচিত। (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬- মৃত্যু: ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক সচিব হয়েও বিশ্বস্ত দেহরক্ষীর মত কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।^[১]

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

কর্নেল জামিলের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৯ সালে তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে সরকার। সেনাবাহিনীও তাদের এই বীর সেনাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৯৭ সালে পরিবারের উদ্যোগে গঠন হয় কর্নেল জামিল ফাউন্ডেশন।^[২]

কর্নেল জামিল আহমেদের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা জামিল সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। ২৯ নভেম্বর ২০১২ সালে তিনি মারা যান। চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে তাহমিনা এনায়েত তনু ঢাকায় থাকেন। মেজ মেয়ে আফরোজা জামিল পেশায় চিত্রশিল্পী। সেজ মেয়ে ফাহমিদা আহমেদ শ্বেতা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। আর সবার ছোট কারিশমা জামিল মেকআপ আর্টিস্ট।^[৩]

কর্নেল জামিল ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।^[২]