চানাচুর
প্রকার | নাশতা |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | ভারতীয় উপমহাদেশ |
প্রধান উপকরণ | ভাজা (ছোলার বা অড়হড় ডালের মিহি গুঁড়া (বেসন) |
চানাচুর একপ্রকার ভাজা নাশতা জাতীয় হালকা খাবার। এর অন্য নাম ডালমুঠ। এটি মূলত ছোলা বা অড়হড় ডালের মিহি গুঁড়া (বেসন) থেকে তৈরি হয়। তবে এতে প্রায়শই চিনাবাদাম, চিঁড়া, সবুজাভ ভাজা মটরশুটিঁ ইত্যাদি যোগ করা হয়। বিশেষ করে ভাজা বাদাম চানাচুরের অপরিহার্য উপকরণ। এটি সাধারণ শুকনা, মুচমুচে ও ঝাল স্বাদের হয়ে থাকে।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]দক্ষিণ এশীয়দের কাছে জনপ্রিয় একটি নাস্তা। ঘরোয়া আড্ডা, নদীর তীর বা উদ্যানে ভ্রমণ চানাচুর চর্বনে প্রাণময় হয়ে ওঠে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে খেটে-খাওয়া মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যের চানাচুর সাময়িক ক্ষুধা নিবৃত্তিতে কার্যকর। এটি রুচিকর। ভারতে মিষ্টি স্বাদের চানাচুর প্রস্তুত করা হয়; কখনো কখনো এতে কিসমিস যোগ করা হয়।
পরিবেশন
[সম্পাদনা]ভোজন রসিক বাঙালির চানাচুর বস্তুটি বড় সমঝদার। হাটে-বাজারে বিভিন্ন গোত্র বর্ণের চানাচুর দেখা মেলে। চায়ের সঙ্গে, মুড়ির সঙ্গে, এমনকি নিঃসঙ্গেও এর মজা জাস্ট আনপ্যারালাল! শহর কিংবা গ্রাম সর্বত্রই একটি বিশিষ্ট বাঙালি চানাচুর ব্র্যান্ড! প্রত্যেকটির স্বাদ অন্যটির চেয়ে আলাদা, গোত্রে অভিন্ন। মরিচের গুঁড়া ও লবণের কারণে এটি নিজেই ঝাল, তবু প্রায়শ: পরিবেশনের আগে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, সরষের তেল প্রভৃতি, কখনো আদা কুচি বা ধনে পাতা, দিয়ে মাখিয়ে একে আরো সুস্বাদু করা হয়। এছাড়া মুড়ি দিয়ে মাখিয়েও চানাচুর পরিবেশন করা হয়। চানাচুর সাধারণত ঘরে ঘরে তৈরী করা হয় না।
চানাচুর বিক্রেতা
[সম্পাদনা]শপিংমল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, মিটিং এর আসরে দেখা মেলে খোলা চানাচুর বিক্রেতাদের। উজ্জ্বলার বা ভ্রাম্যমাণ হকারদের চানাচুর ক্রেতারা লাইন দিয়ে কেনেন। কখনো কখনো ভাঁড়ের বেশে চানাচুর বিক্রি করতে দেখা যায়।
চানাচুর বহুরূপে হৃদিবিরাজে এই সুস্বাদু আহার। দোকানে বিক্রি হয় ব্র্যান্ডের চানাচুর। অনেক ব্র্যান্ডের চানাচুর আছে যা ঘরে ঘরে আদৃত।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
মুড়ির সঙ্গে চানাচুর
-
বাংলাদেশের যাত্রীবাহী ট্রেনে হকার কর্তৃক পরিবেশিত ঝাল চানাচুর
-
একটি মুড়ি, চানাচুর, বাদাম, চিঁড়েভাজা, আচারের দোকান, চণ্ডীতলা, হুগলী
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |