কোট্টায়ম জেলা
কোট্টায়ম জেলা | |
---|---|
কেরালার জেলা | |
কেরালা রাজ্যে কোট্টায়ম জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৯°৩৫′৪২″ উত্তর ৭৬°৩১′৫২″ পূর্ব / ৯.৫৯৫° উত্তর ৭৬.৫৩১° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | কেরল |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১লা জুলাই ১৯৪৯ |
অঞ্চল | কেন্দ্রীয় ত্রিবাঙ্কুর |
সদর | কোট্টায়ম |
সরকার | |
• সমাহর্তা | এম. অঞ্জন আই এ এস[১] |
আয়তন | |
• মোট | ২,২০৮ বর্গকিমি (৮৫৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১৯,৭৪,৫৫১ |
• জনঘনত্ব | ৮৯০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | মালয়ালম, ইংরাজী |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | KL-05 (কেএল-০৫), KL-33 (কেএল-৩৩), KL-34 (কেএল-৩৪), KL-35 (কেএল-৩৫), KL-36 (কেএল-৩৬), KL-67 (কেএল-৬৭) |
ওয়েবসাইট | www |
কোট্টায়ম জেলা হলো দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কেরল রাজ্যের ১৪ টি জেলার একটি জেলা৷ জেলাটির জেলাসদর কোট্টায়ম শহরে অবস্থিত৷ জেলাটিতে রয়েছে ছয়টি পুরনিগম, যথা: কোট্টায়ম, চঙ্গনাসেরি, পালৈ, ঈরাট্টুপেট্টা, এট্টুমানূর এবং বাইকম৷ কেরালার আরব সাগরের সাথে যুক্ত নয় এমন পাঁচটি জেলার মধ্যে এটি একটি, এছাড়া এটি কেরালার সম্পূর্ণ অন্তঃস্থ জেলা যার সাথে রাজ্যের সীমাসংযোগ নেই৷
জেলাটির উত্তর দিকে রয়েছে এর্নাকুলাম জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে ইদুক্কি জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে পত্তনমতিট্টা জেলা এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে আলেপ্পি জেলা৷ প্রাকৃতিকভাবে পূর্বদিকে সীমান্ত বরাবর রয়েছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে কুট্টনাড় অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত এবং বেম্বনাড় হ্রদ। এই অঞ্চলের ভৌগোলিক বিস্তারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা, ধানী জমি, উচ্চভূমি এবং পার্বত্য ভূমি। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই জেলার ২৮.৬ শতাংশ লোক শহরাঞ্চলে বাস করেন এবং সর্বমোট সাক্ষরতার হার ৯৭.২০ শতাংশ। [২] ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে এটি ভারতের প্রথম তামাকমুক্ত জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। [৩] পালৈ এবং কিড়ঙ্গুর শহর দুটি এই জেলার মধ্যস্থলে অবস্থিত।
হিন্দুস্তান নিউজপ্রিন্ট এবং রাবার গবেষণা কেন্দ্র কেন্দ্র সরকারের এই দুটি প্রতিষ্ঠান এই জেলাতে অবস্থিত। কেরালার দুটি বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদর এই কোট্টায়ম জেলাতে অবস্থিত, সেগুলি হল: নাইয়ার সার্ভিস সোসাইটি এবং ইন্ডিয়ান অর্থোডক্স চার্চ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কোট্টায়ম শব্দটি দুটি স্থানীয় মালয়ালম শব্দ "কোট্টা" এবং "অকম" শব্দযুগলের সমন্বয়ে গঠিত, যার অর্থ "দুর্গের আভ্যন্তরীণ ভাগ" বা "দুর্গের অন্দরমহল"।
বর্তমান কোট্টায়ম জেলা পূর্বতন ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। পূর্বে ত্রিবাঙ্কুর রাজ্য দুটি প্রশাসনিক বিভাগ তথা উত্তর বিভাগ এবং দক্ষিণ বিভাগে বিভক্ত ছিল। প্রতিটি বিভাগেই একজন করে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রক হিসাবে "দেওয়ান পেশকার" নিযুক্ত থাকতেন। তারপরে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ওই বিভাগ দুটি থেকে কোল্লাম এবং কোট্টায়ম নামে আরো দুটি বিভাগ গঠন করা হয়। দেবীকুলাম (বর্তমানে ইদুক্কি জেলায় অবস্থিত) নামে আরও একটি বিভাগ গঠন করা হলেও তা স্বল্প সময়ের জন্য প্রশাসনিকভাবে কার্যকর ছিল এবং পরবর্তীকালে কোট্টায়মের সঙ্গে এই বিভাগটি যুক্ত করা হয়। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ত্রিবাঙ্কুর এবং কোচি একীভূত হয়ে ত্রিবাঙ্কুর-কোচিন রাজ্য গঠন করলে এই বিভাগগুলি মোট চারটি জেলায় পরিণত হয় এবং দেওয়ান পেশকার পথটি অবলুপ্ত করে জেলা সমাহর্তা পদ প্রণয়ন করা হয়, একই সাথে ওই বছরই জুলাই মাসে প্রশাসনিকভাবে কোট্টায়ম জেলার সূচনা ঘটে। সেই সময়ে এই অঞ্চলে অবস্থিত শহরগুলি ছিল কোট্টায়ম, মুবাত্তুপ্পি (বর্তমান কোটমঙ্গলম সহ), তোড়ুপ্পি, চঙ্গনাসেরি, বাইকম, মীনচিল, দেবীকুলাম এবং পীরমেড়।[৪]
মালয়ালি মেমোরিয়াল গণআন্দোলন সহ কেরালায় ঘটিত একাধিক আন্দোলনে কোট্টায়মের যোগদান অনস্বীকার্য। ত্রিবাঙ্কুরীয় সিভিল সার্ভিসের ক্ষেত্রে এই গণ আন্দোলন গুলি যথেষ্ট অগ্রগণ্য। [৫]
বাইকম সত্যাগ্রহ আন্দোলনটি ছিল কোট্টায়ম অঞ্চলের জাতিবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন গুলির মধ্যে অন্যতম। ত্রিবাঙ্কুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে ঘটিত আন্দোলনেও কোট্টায়মের যোগদান রয়েছে। এই গণ আন্দোলনের ফলে ত্রিবাঙ্কুরের দেওয়ান সি পি রামস্বামী আইয়ার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সম্প্রদায়
[সম্পাদনা]কোট্টায়ম জেলাতে অবস্থিত দুটি বৃহত্তর ধর্মীয় সম্প্রদায় হলো হিন্দু এবং খ্রিস্টান। এই জেলার পেরুন্না শহরে রয়েছে নাইয়ার সার্ভিস সোসাইটি সদর দপ্তর। বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক শ্রী মন্মথ পদ্মনাভ পিল্লাইয়ের স্মৃতিতে তৈরী মন্নম মেমোরিয়ালটিও এই জেলাতেই অবস্থিত৷ মালঙ্করা অর্থোডক্স সিরীয় গির্জা বা ভারতীয় অর্থোডক্স গির্জার সদরটিও রয়েছে এই জেলার দেবীকুলামে৷ এটি মালঙ্করা মেট্রোপলিটান ও পূর্বদিকের ক্যাথোলিকদেরও প্রশাসনিক সদর৷ মধ্য কেরল ডায়োসিজ গির্জার সদরটিও এই জেলাতেই অবস্থিত৷
আবহাওয়া
[সম্পাদনা]ক্রান্তীয় আবহাওয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য কেরলের অন্যান্য জায়গার মতোই কোট্টায়মে নির্দিষ্ট একটি ঋতুর উপস্থিতি দেখা যায় না। এই অঞ্চলের আদ্রতা যথেষ্ট বেশি এবং বর্ষাকালে গড় আর্দ্রতা ৯০ শতাংশের উপরে থাকে। কোট্টায়মে মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এখানে গড়ে ৩৬০০ মিলিমিটার বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় থাকে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু জুন মাসের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ অবধি থাকে এবং উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর মাস অবধি থাকে। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রাক-মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়। এই সময় কেরালার সর্বাধিক বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায় কোট্টায়ম জেলাতে৷ ডিসেম্বর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস শীতলতম এবং মার্চ এপ্রিল ও মে মাস বছরের উষ্ণতম। কোট্টায়মে ১৯৯৮ খিষ্টাব্দের ৬ই এপ্রিল সর্বাধিক ৩৮.৫° সেন্টিগ্রেট এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই ডিসেম্বর সর্বনিম্ন ১৫° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। [৬]
২০০১ খ্রিস্টাব্দে কোট্টায়ম জেলায় বিস্ময়করভাবে লোহিতবর্ণ বৃষ্টিপাত ঘটেছিল এবং বৃষ্টির ফোটার রং লাল, হলুদ, সবুজ এবং কালো বর্ণের ছিল। [৭]
পর্যটন ও জীবসংরক্ষণ
[সম্পাদনা]কোট্টায়মে রয়েছে বিভিন্ন নদী, হ্রদ কয়াল, প্রাচীন ধর্মীয়স্থল ও শৈলশহরের সমাহার৷ স্থানীয় দর্শনীয় স্থানগুলি হলো:
- কুমারকম একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় পর্যটক আকর্ষণ স্থান৷ এখানে অবস্থিত কুমারকম পাখিরালয়টি পরিযায়ী পাখির আনাগোনার জন্য পরিচিত৷ [৮]
- বেম্বনাড় হ্রদ ঐতিহ্যবাহী বাইচি প্রমোদ নৌকার আঁতুড়ঘর, স্থানীয় ভাষায় এটিকে কেট্টুবল্লম বলা হয়ে থাকে৷ এগুলি মূলত ভ্রমণতরী ও প্রমোদতরীর মধ্যবর্তী৷ [৯] পাতিরামানল হলো এই কয়ালে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ যা শুধু জলপথেই অভিগম্য৷ এখানে রয়েছে পতিরমানল পাখিরালয়৷ [৯]
- ইলাবীড়া পূঞ্চিরা হলো কোট্টায়মের একটি শৈলশহর [১০]
- বাগামন কেরালার একটি শৈলশহর৷ এটির সিংহভাগই ইদুক্কি জেলায় অবস্থিত কিন্তু মীনচিল এবং কঞ্জিরাপল্লী তালুকেও বেশ কিছুটা অংশ রয়েছে৷ [১১]
- আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ওণাম উৎসব চলাকালীন কোল্লামে নৌকাবাইচের প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে৷ এর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়টি হলো নেহেরু ট্রফি বল্লমকলি৷ কুম্মানমের তটতঙ্গাড়ির বল্লমকলি (নৌ-প্রতিযোগিতা) শতবর্ষ পুরাতন৷
- বাইকম হলো একটি ঐতিহাসিক শহর৷
- ইল্লিকাল কল্লু কোট্টায়ম জেলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
কৃষিকাজ
[সম্পাদনা]কোট্টায়মে যেমন রয়েছে পর্বত ও পার্বত্য তরাই অঞ্চল তেমনই রয়েছে সমুদ্র নিকটস্থ নীচু ও সমতলভূমি৷ অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে এই জেলায় বিভিন্ন ধরনের ফসল শাকসব্জি ও অর্থকরী ফসলের চাষ হয়৷ ধান হলো এখানকার উৎপাদিত প্রধান ফসল, যা মূলত প্রচুর পরিমাণে বাইকম ও উচ্চ কুট্টনাড়ের মতো নীচু অঞ্চলগুলিতে চাষ করা হয়ে থাকে৷ কেরালা রাজ্যে জেলাভিত্তিক ধান উৎপাদনে কোট্টায়ম জেলা পালঘাট ও আলেপ্পি জেলার পর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে৷ যদিও স্থানীরদের মধ্যে চালই প্রধান খাদ্যশস্য তবুও অর্থকরী ফসল হিসাবে রাবারের চাষের ব্যপকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের ফলন হ্রাস পাচ্ছে৷ রবার চাষের ক্ষেত্রে কোট্টায়ম কেরল তথা সমগ্র ভারতে যথেষ্ট পরিমানে যোগানের উৎস৷ কোট্টায়ম ভারতের বৃহত্তম রবার উৎপাদক জেলা৷ রাবার গাছ ও রাবার উৎপাদনে স্থানীয় কৃষকদের জন্য স্থায়ী অর্থ উপার্জনের সহজ পন্থা,শুধু তাই নয় এই অঞ্চলের আবহাওয়ার রবার উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। উচ্চভূমি অঞ্চল এই চাষের ক্ষেত্রে অধিক ফলনদায়ী হলেও সারা জেলায় বিভিন্ন স্থানে এই চাষ হয়ে থাকে। এ ব্যতীত অন্যান্য প্রধান উৎপাদিত ফসলগুলি হল সাবু(ট্যাপিওকা), নারকেল, বিভিন্ন শাক সবজি এবং গোলমরিচ। রাবার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ভারত সরকার কোট্টায়ম শহরে একটি রাবার বোর্ড এবং রাবার গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। [১২][১৩]
জনতত্ত্ব
[সম্পাদনা]বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৪,৫০,৬১৫ | — |
১৯১১ | ৪,৮৮,০৪০ | +০.৮% |
১৯২১ | ৫,৮৫,৪৭৮ | +১.৮৪% |
১৯৩১ | ৭,৭৫,০৬৯ | +২.৮৪% |
১৯৪১ | ৯,৪২,৮৯৯ | +১.৯৮% |
১৯৫১ | ১১,৩২,৪৭৮ | +১.৮৫% |
১৯৬১ | ১৩,১৩,৯৮৩ | +১.৫% |
১৯৭১ | ১৫,৩৯,০৩০ | +১.৫৯% |
১৯৮১ | ১৬,৯৭,৪৪২ | +০.৯৮% |
১৯৯১ | ১৮,২৮,২৭১ | +০.৭৫% |
২০০১ | ১৯,৫৩,৬৪৬ | +০.৬৭% |
২০১১ | ১৯,৭৪,৫৫১ | +০.১১% |
উৎস:[১৪] |
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে কেরালা ১৯,৭৪,৫৫১ জন,[১৫] যা স্লোভেনিয়া রাষ্ট্রের [১৬] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যে জনসংখ্যার সমতুল্য। [১৭] ওই বছর ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে এই জেলাটি ২৩৪তম স্থান অধিকার করেছে। [১৫] জেলাটির জনঘনত্ব ৮৯৬ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৩২০ জন/বর্গমাইল)।[১৫] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩২ শতাংশ। [১৫] কোট্টায়ম জেলাতে প্রতি হাজার পুরুষে ১০৪০ জন নারী বাস করেন। [১৫] জেলাটির মোট সাক্ষরতার হার ৯৭.২১ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৭.৯৭ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৯৬.৪৮ শতাংশ, এছাড়া এই জেলাটি সাক্ষরতার হারে কেরালা রাজ্যে প্রথম এবং সারা ভারতে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।
ধর্ম
[সম্পাদনা]২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে কোট্টায়মজেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম হলো হিন্দুধর্ম যা ওই জেলার ৪৯.৮১% লোক পালন করেন, তৎপরবর্তী বৃহত্তর ধর্মাবলম্বী হলো খ্রিস্টধর্ম যা ঐ জেলার ৪৩.৪৮% লোক পালন করেন। এছাড়া সংখ্যালঘুদের মধ্যে রয়েছে ৬.৪১% ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলিমরা। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কোট্টায়ম, তিরুবল্ল এবং চেঙ্গন্নুর হল হিন্দুদের পবিত্র ধর্মস্থল শবরীমালা মন্দিরের যাওয়ার নিকটস্থ তিনটি রেলওয়ে স্টেশন। [১৮]
রাজনীতি
[সম্পাদনা]কোট্টায়ম জেলাতে রয়েছে নয়টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং তিনটি লোকসভা কেন্দ্র।[১৯][২০][২১][২২]
ক্রমিক | বিধানসভা | সদস্য | দল | জোট |
---|---|---|---|---|
১ | চঙ্গনাসেরি | সি এফ থমাস | style="background-color:টেমপ্লেট:Kerala Congress (Mani)/meta/color; color:white;"|কেসি(এম) | ইউডিএফ |
ক্রমিক | বিধানসভা | সদস্য | দল | জোট |
---|---|---|---|---|
২ | পালা (পালৈ) | মণি সি কাপ্পন | এনসিপি | এলডিএফ |
৩ | কাদুতুরুতি | মন্স জোসেফ | style="background-color:টেমপ্লেট:Kerala Congress (Mani)/meta/color; color:white;"|কেসি(এম) | ইউডিএফ |
৪ | বাইকম | সি কে আশা | সিপিআই | এলডিএফ |
৫ | এত্তুমানূর | কে সুরেশ কুরুপ | সিপিআই(এম) | এলডিএফ |
৬ | কোট্টায়ম | তিরুবাঞ্চুর রাধাকৃষ্ণন | জা কং | ইউডিএফ |
৭ | পুদুপল্লী | উম্মেন চণ্ডী | জা কং | ইউডিএফ |
ক্রমিক | বিধানসভা | সদস্য | দল | জোট |
---|---|---|---|---|
৮ | কাঞ্জিরাপল্লী | এন জয়রাজ | style="background-color:টেমপ্লেট:Kerala Congress (Mani)/meta/color; color:white;"|কেসি(এম) | ইউডিএফ |
৯ | পূঞ্জার | পি সি জর্জ | কেজে(এস) | এনডিএ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "About District Collector - Kottayam District, Government of Kerala - India"। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৯।
- ↑ "2011 Kottayam Census" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 15,16। ৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Kottayam district to be declared tobacco-free - KERALA - The Hindu"। The Hindu। ২০২০-০২-১৬। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৬।
- ↑ K. M. Mathew, সম্পাদক (২০০৬)। Manorama Year Book। Malayala Manorama। পৃষ্ঠা 116।
- ↑ "History | Kottayam District, Government of Kerala" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৮।
- ↑ http://www.kerala.gov.instatistical/panchayat_statistics2001/ktm_shis.htm[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Climate of Kottayam
- ↑ Ramakrishnan, Venkatraman (৩০ জুলাই ২০০১)। "Coloured Rain: A Report on the Phenomenon" (পিডিএফ)। BBC। Archived from the original on ১৩ জুন ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ "VEMBANAD LAKE | Kottayam District, Government of Kerala | India"।
- ↑ "ILAVEEZHAPOONCHIRA | Kottayam District, Government of Kerala | India"।
- ↑ "Vagamon,Wagamon, Vagamon hill station, Vagamon Heights, Vagamon Hideout"।
- ↑ "Archived copy"। ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১১।
- ↑ "naturemagics.com - Diese Website steht zum Verkauf! - Informationen zum Thema naturemagics."। ww1.naturemagics.com। ৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৯।
- ↑ Decadal Variation In Population Since 1901
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১১।
Slovenia 2,000,092 July 2011 est.
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
New Mexico - 2,059,179
- ↑ "District Profile"। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Assembly Constituencies - Corresponding Districts and Parliamentary Constituencies" (পিডিএফ)। Kerala। Election Commission of India। ২০০৯-০৩-০৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।