আল আরাবিয়া
আল আরাবিয়া | |
---|---|
উদ্বোধন | ৩ মার্চ ২০০৩ |
মালিকানা | এমবিসি গ্রুপ |
চিত্রের বিন্যাস | 1080i (HDTV) 576i (SDTV) |
দেশ | আরব বিশ্ব |
প্রচারের স্থান | মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা এর জন্য সাহিত্য আরবি (টিভি/ওয়েবসাইট) প্রধান সংস্করণ; ইংরেজি সংস্করণ (ওয়েবসাইট) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য; ফার্সি সংস্করণ (ওয়েবসাইট) হল মধ্যপ্রাচ্যের পশ্চিম এবং দক্ষিণ এশিয়া এর উত্তরের অধিকাংশের জন্য; উর্দু (ওয়েবসাইট) হল দক্ষিণ এশিয়ার উত্তরাংশের জন্য |
প্রধান কার্যালয় | দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত |
ভ্রাতৃপ্রতিম চ্যানেল(সমূহ) | MBC 1 MBC 2 MBC 3 MBC 4 MBC Drama MBC Action MBC Max MBC Persia Wanasah MBC Bollywood |
ওয়েবসাইট | alarabiya english farsi urdu |
প্রাপ্তিস্থান | |
কৃত্রিম উপগ্রহ | |
Nilesat 102 | 11470 V - 27500 - 5/6[১] |
Arabsat BADR-7 | 11938 V - 27500 - 5/6[১] |
Hot Bird 9 | 11747 H - 27500 - 3/4[২] |
Asiasat 5 | 3760 H - 27500 - 3/4[৩] |
SKY Italia | Channel 562 |
Sky (UK & Ireland) | Channel 855 |
OSN (MENA) | Channel 453 (SD) |
beIN (Middle East & North Africa) | Channel 203 |
ক্যাবল | |
Numericable (France) | Channel 656 (SD) |
Naxoo (Switzerland) | Channel 280 |
Ziggo (Netherlands) | Channel 780 |
Fukushima TV | Channel 50 |
আইপিটিভি | |
Freebox TV (France) | Channel 674 (SD) |
PTCL Smart TV (Pakistan) | Channel 107 |
Sunrise TV (Switzerland) | Channel 201 (SD) |
MT Box (Morocco) | Channel 48 (SD) |
আল আরাবিয়া (আরবি: العربية, অর্থ "আরব") একটি সৌদি মালিকানাধী প্যান আরব[৪] সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল, যেটি আধুনিক মান আরবিতে সম্প্রচারিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০৩ সালের ৩ মার্চ চালু হওয়া এই চ্যানেলটি[৫][৬] সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিডিয়া সিটি ভিত্তিক, এবং এর সত্ত্বাধিকারী সৌদি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার।
আল আরাবিয়ার বর্তমান মহাব্যবস্থাপক হলেন আদেল আল তোরাইফি, যিনি আব্দুর রহমান আল রাশেদের পর ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর দায়িত্বগ্রহণ করেন।[৪]
আল আরাবিয়া একটি ফ্রি-টু-এয়ার চ্যানেল, এটি খবরের পাশাপাশি টক শো এবং প্রামাণ্যচিত্রও সম্প্রচার করে। আল আরাবিয়া সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, বাণিজ্য এবং অর্থনীতি ও খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রোতাদের নিকট এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যান-আরব টিভি চ্যানেল।[৭] "প্রো সৌদি এজেন্ডা"র কারণে এই চ্যানেলটি সমালোচিত হয়েছে,[৮] এবং এক সময় এটি ইরাকের মার্কিন মদদপুষ্ট গভর্নিং কাউন্সিল কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিল, সাদ্দাম হুসাইনের অডিও টেপ সম্প্রচার করে “হত্যার উস্কানি” দেওয়ার জন্য।[৭]
২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা রাষ্ট্রপতি হিসাবে একটি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন এই চ্যানেলকে।[৯]
আল জাজিরার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
[সম্পাদনা]অনেকে মনে করেন যে আল আরাবিয়া কাতার ভিত্তিক আল জাজিরার প্রত্যক্ষ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[৭] ৯০’র দশকে আল জাযিরার সৌদি রাজ পরিবারের সমালোচনার প্রত্যুত্তরে রাজপরিবারের কয়েক জন আত্মীয় ২০০২ সালে দুবাই ভিত্তিক আল আরাবিয়া টিভি স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন।[১০][১১][১২] ২০০৮ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত আল আরাবিয়ার পরিচালক আব্দুর রহমান আল রাশেদের জীবনবৃত্তান্ত অনুসারে, "আরবি টেলিভিশনসমূহের বিপ্লবী রাজনীতি ও সহিংসতার প্রতি ঝোক প্রতিরোধ করতে" কাজ করে। আল আরাবিয়া সৌদি আরবে আল জাজিরার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যানেল হিসাবে পরিচিত।[১৩]
আল আরাবিয়া ২০১২ সালে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের ই-মেইল বার্তা সম্প্রচার করে, যে ই-মেইলগুলো বিরোধী হ্যাকাররা প্রকাশ করেছিল।[৪]
অনুষ্ঠান
[সম্পাদনা]স্পেশ্যাল মিশন আল আরাবিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা/সাম্প্রতিক বিষয়ক অনুষ্ঠান। এটি দুবাই ভিত্তিক আল আরাবিয়া প্যান আরব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানটি ২৯ অক্টোবর ২০০৩ সালে শুরু হয়ে এখনো চলছে।
পানোরামার অনুসন্ধানী ধারণার অনুসরণে এই অনুষ্ঠানে প্রতি সপ্তাহে খুব সাধারণ বিষয়কে গভীরভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং স্থানীয় অথবা বিশ্বের যে কোন অঞ্চল থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য অনেক পদক অর্জন করেছে, এবং অনেক উঁচুমানের ঘটনা তৈরি করেছে।
স্পেশ্যাল মিশনে যে ধরনের সাংবাদিকতা করা হয়, তাতে প্রতিবেদক একটি কৌতুহলোদ্দীপক ঘটনা গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন, এমনকি প্রায়ই অপরাধ, রাজনৈতিক দুর্নীতি অথবা ব্যবসায়িক অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে অনুসন্ধান করা হয়। স্পেশ্যাল মিশন একটি অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান, এটির লক্ষ্য হলো ধাঁধাঁপূর্ণ বিষয়ের আসল সত্য উম্মোচন করা, যে বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের নিকট সুস্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এমনকি ধর্মীয় বিষয়ও এই অনুষ্ঠানে আলোচিত হয়।
ইদ্বাআত' (আরবি: إضاءات, অর্থ "স্পটলাইট"), প্রতি মঙ্গলবার ২:০০পিএমে (সৌদি সময়) সম্প্রচারিত হয়, অনুষ্ঠানটি একঘণ্টাব্যাপী প্রচার হয়।[১৪] এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রভাবশালী আঞ্চলিক ব্যক্তিত্ব, যেমন: আঞ্চলিক নেতা, লেখক, রাজনীতিবিদদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। (বর্তমানে অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার বন্ধ।)
রাওয়াফিদ (আরবি: روافد, অর্থ "উপনদীসমূহ"), আহমাদ আলি আল জাইন কর্তৃক পরিচালিত ও উপস্থাপিত এ অনুষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে একবার সম্প্রচারিত হয়। (বুধবার ৫:৩০ পিএম)।[১৫] রাওয়াফিদ শিল্প ও সংস্কৃতির দুনিয়ার প্রতি নিবেদিত প্রামাণ্যচিত্র ও সাক্ষাৎকারের ধারাবাহিক।
বিনিয়োগ এবং মালিকানা
[সম্পাদনা]অনির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন অনুসারে আল আরাবিয়ায় মূল বিনিয়োগ ছিল ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিনিয়োগকারীরা হলো: মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার (এমবিসি), লেবাননের হারিরি গ্রুপ, এবং সৌদি আরব, কুয়েত ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশসমূহের বিনিয়োগকারীরা।[৭] এমবিসিতে আবদুল আজিজ ইবন ফাহাদ এবং তার চাচা ওয়ালিদ ইবন ইব্রাহিমের মালিকানা আছে এবং আল আরাবিয়াতে তাদের নিয়ন্ত্রণও আছে।[১৩]
২০১২ সালের মার্চ মাসে আল আরাবিয়া আল হাদাস নামে নতুন একটি চ্যানেল চালু করেছে, যেটি বিস্তারিত রাজনৈতিক সংবাদ সম্প্রচার করে।[৪]
রেকর্ড এবং বিতর্ক
[সম্পাদনা]কাতারের প্যান-আরবিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল আল জাজিরার প্রত্যুত্তরে আল আরাবিয়া চালু হয়েছিল, কিন্তু দর্শকপ্রিয়তার দিকে আল জাজিরাকে পিছনে ফেলতে পারে নি।[৬][১৬] আল আরাবিয়া প্রকাশ্যে সৌদির এক বাহু হিসেবে কাজ করার কারণে সমালোচিত হয়েছে.[৬][৬]
আল আরাবিয়া ২০০৪ সালে সাদ্দাম হুসাইনের একটি অডিও টেপ সম্প্রচার করে ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিল।[৭]
নিহত প্রতিবেদক
[সম্পাদনা]২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল আরবিয়ার প্রতিবেদক মাজেন আল-তুমেইজি ক্যামেরার সামনে নিহত হন, বাগদাদের হাইফা স্ট্রিটে মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে ভীড়ের উপর ছোড়া গুলির আঘাতে।[১৭]
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইরাকের সামাররাতে মসজিদের উপর বোমা নিক্ষেপের পরিণতি সম্পর্কে প্রতিবেদন করার সময় আল আরাবিয়ার তিন জন প্রতিবেদক নিহত হন। এদের মধ্যে ছিলেন ইরাকি প্রতিনিধি আতওয়ার বাহজাত। ২০১২ সালে আল আরাবিয়ার এশিয়া প্রতিনিধি বাকির আত্তানি ফিলিপািইনে একটি সশস্ত্র গ্রুপের হাতে অপহৃত হন। তিনি মুক্তি পান[১৮] ১৮ মাস পর।[৪]
অনলাইন
[সম্পাদনা]আল আরাবিয়ার ইন্টারনেট সংবাদ সেবা (alarabiya.net) ২০০৪ সালে আরবি ভাষায় উদ্বোধন হয়, ২০০৭ সালে ইংরেজি এবং ২০০৮ সালে ফার্সী ও উর্দু ভাষা সংযোজিত হয়। চ্যানেলটি বাণিজ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট (alaswaq.net) পরিচালনা করে, অর্থনৈতিক সংবাদ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের তথ্য থাকে। অাল আরাবিয়া সংবাদবিষয়ক চ্যানেলটি অনলাইনে জাম্পটিভি এবং লাইভস্টেশনে আছে। আল আরাবিয়ার ইংরেজি ওয়েব সাইট ২০১৩ সালে পুনরায় যাত্রা শুরু করে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ এবং অনুষ্ঠানসমূহে স্বয়ংক্রিয় সাবটাইটেলের ফিচার সংযোজন করে।[৪]
আল আরাবিয়ার ওয়েবসাইট জানুয়ারী ২০১১ এর শেষ দিকে মিসরীয় বিক্ষোভের সময় অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত ছিল। সাইটটি প্রায়ই নিম্নোক্ত বার্তা প্রদর্শন করে অফলাইনে চলে যেতো: "The website is down due to the heavy traffic to follow up with the Egyptian crisis and it will be back within three hours (Time of message: 11GMT)".
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "الترددات الجديدة لقنوات MBC - MBC.net"। mbc.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Hot Bird 13B / Hot Bird 13C / Hot Bird 13D (13°E) - All transmissions - frequencies - KingOfSat"। kingofsat.net।
- ↑ "AsiaSat 5 at 100.5°E - LyngSat"। www.lyngsat.com।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "About Al Arabiya TV"। Al Arabiya। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ ঙ Peter Feuilherade (25 November 2003).
- ↑ Pop culture Arab world!: media, arts, and lifestyle - p. 55
- ↑ "Obama tells Al Arabiya peace talks should resume".
- ↑ "Kraidy, Marwan."। ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ (2006).
- ↑ Departmental Papers (ASC).
- ↑ ক খ "Ideological And Ownership Trends In The Saudi Media"। Cablegate। ১১ মে ২০০৯। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২।
- ↑ "Al Arabiya Programs"। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ২৬ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Rawafed Website"। alarabiya.net।
- ↑ "Radio" (পিডিএফ)। Stanley Foundation। ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ "U.S. army defends helicopter attack in Baghdad".
- ↑ http://english.alarabiya.net/en/media/television-and-radio/2013/12/11/Baker-Atyani-describes-mental-torture-of-kidnap.html